স্বজন হারানোর বেদনা থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার

।। এমএ নোমান ।।
‘আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলেই না।’ স্মরণকালের আলোচিত এ উক্তিটি পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার আগে গত বছর ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো রাখঢাক না করেই শেখ হাসিনা এ উক্তিটি করেছিলেন। একজন পিয়নের দুর্নীতির এ চিত্র সমগ্র দেশের দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সামগ্রিক চিত্রের ধারণা দেয়।
পিয়নের দুর্নীতি নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের আগে অবশ্য বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকায় কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বেগমপাড়া এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে ‘সেকেন্ড হোম’ গড়ে তোলার কাহিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। সাবেক আইজিপি বেনজীরের ‘আলাদীনের চেরাগ’, এনবিআরের সদস্য মতিউরের ‘ছাগলকাণ্ড’, এস আলমের ছয়টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ‘ব্যাংক লুট’, বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রিজার্ভ চুরি’, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে ‘বালিশকাণ্ড’, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে টাকা লুট করে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তকমা পওয়াসহ দুর্নীতির নানা উপাখ্যান নিয়ে গণমাধ্যম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গত সাড়ে ১৫ বছরের দুর্নীতি ও দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। তাতেও দুর্নীতির যে বিবরণ বেরিয়ে এসেছে, তা রীতিমতো ভয়ানক ও বিস্ময়কর। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে ড. দেবপ্রিয় তথ্যপ্রমাণসহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে ফোকলা করে বিদেশে টাকা পাচারের তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক আমলা এবং ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরাও।
দুর্নীতির পাশাপাশি আইন লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সবার নামে রাজউকের কোটি টাকা দামের প্লট দখলের ঘটনাও সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকগুলোয় সংবাদের শিরোনাম হয়। ‘স্বজন হারানোর বেদনা’ নিয়ে এত বিশাল দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকারীদের দেশপ্রেম নিয়ে। এরা কি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য? জাতি কি এদের ক্ষমা করবে?
শোষণ, দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত একটি সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুক্তিসংগ্রামে লাখো মানুষ জীবন দেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রশাসনিক কাঠামো স্থাপনের সময়ও দুর্নীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশে একনায়কতন্ত্র বা বাকশাল গঠন দুর্নীতির একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। নির্বাচন ছাড়াই শুধু সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি হয়ে যান শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৪ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবেও দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনকে দায়ী করা হয়। আমলা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে শেখ মুজিবও প্রকাশ্য জনসভায় ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এমন একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান। তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের খতম করো।’ সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেশের জন্য কাজ করেন। ঘুষ খাওয়া ও দুর্নীতি বন্ধ করেন। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ভরে গেছে। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এত কষ্ট করে, এত ভিক্ষা করে সারা দুনিয়া থেকে ৩০৯ কোটি টাকা সাহায্য পেয়েছি। ১৬৬ কোটি টাকা আমি ঋণ করে এনেছি, যা দিয়ে বাংলার মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু গরিব মানুষকে আমি কী দিব? যা ভিক্ষা করে আনছি, চাটার দল সব চেটেপুটে খেয়ে ফেলে। আমার গরিব-দুঃখী মানুষ কিছু পায় না। এত চোরের চোর। এরা কোথা থেকে যে পয়দা হয়েছে আমি জানি না।’ ১৯৭৪ সালের চোরাচালান ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক আকতার উল আলমের লেখা ‘দুঃশাসনের ১৩৩৮ রজনী’তে উল্লেখ করেছেন, ‘দীর্ঘ তিনটি বছর আমরা এমনটি প্রত্যক্ষ করেছি যে, আমাদের চোখের সামনে চাল-পাট পাচার হয়ে গেছে সীমান্তের ওপারে, আর বাংলার অসহায় মানুষ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিশ্বের দ্বারে দ্বারে।’
বাংলাদেশের ওই সময়ের দুর্ভিক্ষ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান তথ্য-অনুসন্ধানী সাংবাদিক ‘জন পিলজার’ লিখেছেন, “সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে এবং আমাদের গাড়ি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম-এর লরির পেছনে পেছনে চলছে। এই সমিতি ঢাকার রাস্তা থেকে দুর্ভিক্ষের শেষ শিকারটিকে কুড়িয়ে তুলে নেয়। সমিতির ডাইরেক্টর ডা. আব্দুল ওয়াহিদ জানালেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে আমরা হয়তো কয়েকজন ভিখারির মৃতদেহ কুড়িয়ে থাকি। কিন্তু এখন মাসে অন্তত ৬০০ লাশ কুড়াচ্ছি—সবই অনাহার জনিত মৃত্যু।”
বাংলাদেশের চুয়াত্তরের দুর্নীতি ও ভয়াল দুর্ভিক্ষ নিয়ে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তার ‘প্রোভার্টি অ্যান্ড ফেমিনেস’ বইয়ে লিখেছেন, ‘সে সময়ে দুস্থ মানুষকে বিনা মূল্যে খাবার খাওয়ানোর জন্য প্রায় ছয় হাজার লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও রাজনীতিবিদদের লুটপাটে সাধারণ মানুষের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল। খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল সরকার দেশে তীব্র দুর্ভিক্ষ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যশস্য আমদানিতে সাফল্য দেখাতে পারেনি।’
দেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ইতিহাসধর্মী উপন্যাস ‘দেয়াল’-এ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরবেলায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বাকশাল প্রধান ও দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে দুর্নীতি ও দুর্ভিক্ষকে প্রধানতম কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি। শেখ মুজিবুর রহমানের তিন বছরের শাসনামলের দুর্নীতি ও অনিয়মগুলোকে তিনি সুনিপুণভাবে তুলে এনেছেন বইটিতে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিগত সরকারের আমলের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলারের দাম ১২০ টাকা) এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।
গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি রিপোর্টস (জিএফআইআরএস) এবং কিছু নির্দিষ্ট পূর্বানুমানের ভিত্তিতে টাকা পাচারের হিসাব করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। কমিটির পেশ করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে অর্থ পাচার বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকা পাচারের বিষয়টিকে অর্থনীতিতে ক্ষতিকর ‘টিউমার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে অর্থনীতি ও সম্পদের বড় অংশ এই ক্ষতিকর টিউমার চুষে নিয়েছে। টাকা পাচারের জন্য দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের রাঘববোয়াল ও আমলাদের মধ্যে একধরনের অনৈতিক চক্র গড়ে উঠেছিল। ঘুষ-দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ ও মিথ্যা ঘোষণার আড়ালে বাণিজ্য, ব্যাংক থেকে চুরি করা টাকা, খেলাপি ঋণের অর্থ, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে দেখানো, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং কর ফাঁকির মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ করের অভয়ারণ্য নামে পরিচিত ছোট ছোট দেশে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে। মূলত বাড়ি কিনে এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করে টাকা পাচার করা হয়েছে বলেও শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার গত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়াদি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ হওয়ার আগে দেশের গণমাধ্যমে তথ্য-প্রমাণভিত্তিক অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওইসব সংবাদও দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় সর্বত্র।
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী’ ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৮ লাখ ডলার (প্রায় ৫ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা) ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে টেক্কা দিয়ে পাচার করা টাকায় সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ‘সামিট’ গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ‘ফোর্বস’ প্রকাশিত ২০২৪ সালের ধনকুবের (বিলিয়নেয়ার) তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ফোর্বস জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সারিতেই আছেন মুহাম্মদ আজিজ খান। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। জ্বালানি খাত থেকেই তিনি এ বিপুল সম্পদ আয় করেছেন বলে জানানো হয়েছে সেখানে।
ফোর্বস বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়া আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলাদেশের একটি শীর্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সামিট’ গ্রুপের কর্ণধার ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান। ‘সামিট গ্রুপ’ বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস, আবাসন ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে কাজ করে। তার ভাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও শেখ হাসিনা সরকারের বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের ভাই।
বাংলাদেশের প্রকল্প থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টিউলিপের দুর্নীতির বিষয়ে লিখেছে, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে বেশি অর্থ ব্যয়ে একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। এই চুক্তি থেকে তিনি ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপের মাধ্যমে এ ঘুসের অর্থের অংশ শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বোন শেখ রেহানাও (টিউলিপ সিদ্দিকের মা) পেয়েছেন বলেও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর পর পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন তিনি। সিটি মিনিস্টার হিসেবে পরিচিত এই পদে থেকে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বে ছিলেন। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, বিদেশিরা এ অঞ্চল দখল করে সম্পদ লুট করে নিয়ে নিজ দেশ সমৃদ্ধ করত। আর এখন আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে ওইসব দেশকে সমৃদ্ধ করছে। প্রশ্ন হলো—এ দুর্নীতিবাজরা কি দায়মুক্তি পেয়ে যাবে?
Share this content:
Post Comment