সংস্কার নাকি নির্বাচন-কোনটিআগে
।। ইকতেদার আহমেদ ।।
সমাজ গতিশীল হওয়ায় যেকোনো সমাজ বা রাষ্ট্রে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের গতিশীলতাকে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার আলোকে সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে আইনের পরিবর্তনের আবশ্যকতা দেখা দেয়। সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। প্রতিটি দেশের সংবিধান জনআকাঙ্ক্ষার অভিপ্রায়ে রচিত। সংবিধান ও আইনের সংস্কারের মাধ্যমে জনআকাক্সক্ষার পরিপূরণকে বলা হয় রাষ্ট্র সংস্কার। সংবিধান ও আইনের সংস্কারের পদ্ধতি সংবিধানে বর্ণিত থাকে; তবে সংবিধানে এমন কিছু মৌলিক বিষয় থাকে যার পরিবর্তন ঘটানো হলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। যেমন- রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানা, ভাষা, নাগরিকত্ব, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ইত্যাদি।
সংসদ বা আইন সভা সংবিধানের মাধ্যমে সৃষ্ট রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি অঙ্গ। অন্য দুটি অঙ্গ হলো শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। সংসদের মূল কাজ দেশের জনমানুষের কল্যাণে আইন প্রণয়ন। সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের আলোকে বিচার বিভাগে কর্মরত বিচারকরা সংবিধান ও আইনের বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যায় বিচারকার্য সমাধা করে থাকেন। শাসন বিভাগের কাজ হলো আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে জনজীবনের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন।
একটি দেশের নির্বাচন কখন ও কী পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে তা দেশটির সংবিধান ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট আইনে উল্লেখ থাকে। পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি অপরটির কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ না করায় তিনটি অঙ্গ সুচারুরূপে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারে। উন্নত রাষ্ট্রসমূহে সংবিধান নির্দেশিত পন্থায় যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জনমতের প্রতিফলনে নির্বাচনে বিজয়ী দল সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।
বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হয়নি। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিষয়ক যে বিরোধ তা হলো একটি সরকারের মেয়াদ অবসান-পরবর্তী কোন ধরনের সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিরোধের অবসানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছিল। ব্যবস্থাটির অধীন সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নির্বাচন দু’টির প্রথমোক্তটিতে আওয়ামী লীগ এবং পরেরটিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল।
সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে স্বীয় মতাদর্শের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার মানসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স ৬৫ হতে ৬৭-তে উন্নীত করা হলে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ অবসান-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিতর্ক দেখা দেয়। এ বিতর্কের ফলে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনবিষয়ক সব বিকল্প নিঃশেষিত না করে গঠিত হয়। এতে ওই সরকার এক পর্যায়ে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়।
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সন্নিবেশন-পরবর্তী এ সরকারটি বিষয়ে বলা হয়- সংসদ ভেঙে দেয়ার পর বা মেয়াদ অবসানে ভেঙে গেলে যে তারিখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যভার গ্রহণ করেন; সে তারিখ হতে সংসদ গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী তার পদের কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে।
উপরিউক্ত বিধানটি প্রবর্তন-পরবর্তী নির্বাচনবিষয়ক যে বিধান করা হয় তাতে বলা হয়- মেয়াদ অবসানে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী সংবিধানের বিধানাবলির আলোকে যে দু’টি নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল; উভয় সরকার সংবিধান নির্দেশিত পন্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান-পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ী দলের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্বের সমাপ্তিতে বিদায় নেয়।
আমাদের দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন পূর্ববর্তী তিনবার অসাংবিধানিক শাসনের আগমন ঘটেছিল। ১৯৭৫ এবং ১৯৮২ সাল পরবর্তী যে দু’টি অসাংবিধানিক সরকারের আগমন ঘটেছিল; উভয় সরকারের সময় সংবিধান স্থগিত করে ধাপে ধাপে পুনর্জীবিত করা হয়। উভয় সময়ে যারা সরকারের শীর্ষ নির্বাহী পদে আসীন ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল গঠনপূর্বক নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অবতীর্ণ হয়ে বিজয়-পরবর্তী নির্ধারিত সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে নিজ নিজ শাসনকালকে বৈধতা দিতে সক্ষম হন।
১৯৯০ সালের শেষের দিকে তিন-জোটের রূপরেখায় কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন যে অস্থায়ী সরকারের আগমন ঘটেছিল এটি সংবিধান বহাল রেখে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নির্বাচন-পরবর্তী সংবিধানের একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারটির কার্যকলাপকে তিন-জোটের রূপরেখার আলোকে বৈধতা দেয়া হয় এবং অতঃপর অস্থায়ী সরকারের প্রধানরূপে দায়িত্ব পালনরত কর্মরত প্রধান বিচারপতি পুনঃপ্রধান বিচারপতি পদে প্রত্যাবর্তন করেন।
উল্লিখিত অস্থায়ী সরকারের শাসনামলে ২৮টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী দল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত কোনো সংস্কার কার্যকর বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় কার্যত সংস্কার প্রস্তাবমালার বাস্তবায়ন থেমে যায়। এ কারণে স্বভাবত প্রশ্ন দেখা দেয় সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনায় জনগণ প্রদত্ত করের যে অর্থ ব্যয় হয়েছিল এর যথার্থতার দায়ভার কার ওপর বর্তায়?
অষ্টম সংসদের মেয়াদ অবসানের পর যে অসাংবিধানিক সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগমন ঘটেছিল সেটিকে নবম সংসদে নির্বাচনে বিজয়ী দল বৈধতা না দেয়ায় সেটি এখনো সাংবিধানিক বৈধতাবিহীন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রায় দু’বছরের শাসনামলে সরকারটি ১২২টি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দল ১২২টি অধ্যাদেশের মধ্যে ৪৪টি অনুমোদন করে। অবশিষ্ট ৭৮টি অধ্যাদেশ সংসদে অনুমোদন না হওয়ায় এগুলো কার্যকারিতা হারায়। অননুমোদিত অধ্যাদেশসমূহ প্রণয়নে যে অর্থ ও শ্রমের ব্যয় হয়েছিল এ অধ্যাদেশগুলো কার্যকর না হওয়ায় সম্পূর্ণ শ্রম ও অর্থ ব্যয় নিষ্ফল হয়ে পড়ে।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি বৈধতাপ্রাপ্ত না হওয়ায় এর অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনটিও সাংবিধানিক ও আইনের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। এ সরকারের অধীন পরিচালিত নবম সংসদ নির্বাচন পরবর্তী কালানুক্রমিক যে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়; এ নির্বাচনগুলো অবৈধ ভিতে প্রতিষ্ঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তদপরবর্তী নির্বাচনসমূহ বৈধ বলার অবকাশ ক্ষীণ। তা ছাড়া এ তিনটি নির্বাচন সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ এ কারণে যে, এর প্রথমোক্তটি সংবিধানের সংসদ গঠনবিষয়ক সুস্পষ্ট বিধান লঙ্ঘনপূর্বক নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়; দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে দেখা যায়, সংবিধান ও আইনের বিধান লঙ্ঘনপূর্বক নির্ধারিত দিনের ভোট পূর্ববর্তী রাতে অনুষ্ঠিত হয়; শেষোক্তটির ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নির্ধারণ করে দেন নির্বাচনে মূল প্রার্থী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কারা হবেন। এ তিনটি নির্বাচনের অপর উল্লেখযোগ্য দিক হলো প্রতিটি নির্বাচনে সামগ্রিক বিবেচনায় ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৫% এরও কম। যদিও নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপে ভোটার উপস্থিতির হার স্ফীত করে ৪০% এর ওপরে দেখায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বিদায়ী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দলের সব নেতাকর্মীকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে অকস্মাৎ ভারতে পলায়ন করলে সরকারটির পতনের মধ্য দিয়ে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের আগমন ঘটে। বিদায়ী সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করত : যে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তন করে তাতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করা হয়। এ বাস্তবতায় জনআকাক্সক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আপাত বৈধ; তবে এ সরকারকে চূড়ান্তভাবে বৈধ তখন বলা যাবে; যখন আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দল বা দলসমূহ একক বা সঙ্ঘবদ্ধভাবে সরকারটির সামগ্রিক কার্যকলাপকে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতাদানের কার্য সম্পন্ন করে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। অন্য চারটির গঠন প্রক্রিয়াধীন মর্মে নিশ্চিত করেছে। ঘোষিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনটির প্রধানের পক্ষ হতে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত যেসব বক্তব্য পাওয়া গেছে; তাতে প্রতীয়মান হয়- তার অবস্থান সংবিধান পুনঃলিখনের সপক্ষে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনসমর্থনের দিক থেকে যে দলটি অগ্রগামী সে দলটির পক্ষ হতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রতি দলটির সহযোগী ও অনুগামী দলসমূহ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এ ছাড়া এ যাবৎকাল পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ হতে ৩১ দফার বিপক্ষে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি যা আইনের ভাষায় মৌনসম্মতি হিসেবে স্বীকৃত। ৩১ দফা বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয় ছয়টি সংস্কার কমিশনের কর্মপরিধি ৩১ দফার অন্তর্ভুক্ত; তবে ৩১ দফায় সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে অবস্থান ব্যক্ত করা হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ও প্রধানতম কাজ হলো সমসুযোগ সম্বলিত মাঠের সৃষ্টি করে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা। এ ধরনের নির্বাচনের ব্যবস্থায় সংবিধানসম্মত পন্থায় গঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যে সময়কাল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল তা ছিল ৯০ দিন। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অদ্যাবধি রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা করেনি। সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্যে বলা হয়েছে তিনি চান ১৮ মাসের ভেতর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এই ১৮ মাসের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কোনো ধরনের আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সেনাপ্রধান ব্যক্ত এবং রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত ১৮ মাস সময় যৌক্তিক মর্মে বিবেচিত।
গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ নির্বাচনের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিকীকরণসহ প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষ অবস্থান সুনিশ্চিতকরণ অত্যাবশ্যক। তা ছাড়া একটি কার্যক্ষম নির্বাচন কমিশন গঠন অতীব জরুরি। এসব কার্য সমাধায় অন্তর্বর্তী সরকারকে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে আগমন; তাতে সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ দেশ ও জাতিকে দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারে। সুতরাং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করে দ্রুত নির্বাচনের পথে অগ্রসর হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং আগামী নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবেন উভয়ের জন্য তা স্বস্তিদায়ক হবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
Share this content:
Post Comment