মুখ্যমন্ত্রীর নিকট ‘আমরা বাঙালি’ সংগঠনের ১০ দশা দাবী পেশ
ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ধলাই জেলার আমরা বাঙালী কমিটির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট ধলাই জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তার মারফতে গন্ডাছড়ার বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
এদিনের ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, প্রচার সচিব দুলাল ঘোষ, অশোক দাস, গীতাঞ্জলি দেবী, সীমন্তনী দেব, ধলাই জেলা সচিব প্রেমতোষ দেব।ডেপুটেশন শেষে আমবাসা বাজারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১২ জুলাই পরমেশ্বর রিয়াং এর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বাঙালীদের ঘরবাড়ি, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে জনজাতিদের একটি একাংশ। খবরে প্রকাশ গন্ডাছড়ার কলেজ মাঠে জুয়ার আসরে মদমত্ত অবস্থায় যে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র জাতি জনজাতি কয়েকজনের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তির মধ্যে পরমেশ্বর রিয়াং নামে এক যুবক অসাবধানতাবশত মেলা প্রাঙ্গণে অসুরক্ষিত বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে জড়িয়ে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হয়। এরপর উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে পুলিশ।
পরবর্তী সময়ে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরমেশ্বর রিয়াং মারা যায়। মারা যাওয়ার খবর গন্ডাছড়ায় পৌঁছতেই সংঘবদ্ধভাবে একের পর এক বাঙালীদের পাড়ায় ঢুকে ঘর বাড়ি দোকান পাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা গণ্ডাছড়া জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
তাই উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা বাঙালী দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট দাবি সনদ পেশ করে দাবি করা হয় – ১) অবলম্বি গন্ডাছড়ার বিভিন্ন স্থানে আশ্রিত বাঙালী শরণার্থী দের পানীয় জল, ঔষধ পত্র, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে ।২) শরণার্থী শিবিরে আশ্রিতরা যাতে নির্ভয়ে বাড়িঘরে যেতে পারে তাই স্থায়ীভাবে টিএসআর ক্যাম্প বসাতে হবে। ৩) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, দোকানী ও যানবাহনের মালিকদের প্রত্যেককে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। ৪) সরকারি তরফে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে দিতে হবে ও বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বছর খানেক দিতে হবে। ৪) বাড়িঘরে ও দোকান পাটে আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে বর্তমান আইন অনুসারে কঠোর সাজার ব্যাবস্থা করতে হবে। যাতে দ্বিতীয়বার এই কাজ করতে তারা ভয় পায়। ৫) ঘটনার দিন প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে কিনা তার সঠিক তদন্ত করতে হবে। ৬) ৮০ সালের পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাঙালী পরিবারকে ক্ষতি পূরণ ও ভূমিহীনদের ভূমি দিতে হবে। ৭) পেকুয়া ছড়া ও গন্ডাছড়ার বাঙালীদের ব্রু শরণার্থীদের মতো সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে। ৮) ভোট ব্যাংকের স্বার্থে লাল সাদা আমলের মতো ও ব্রু শরণার্থীদের মতো এক তরফা ভাবে জনজাতি তোষণ নীতি বন্ধ করতে হবে। ৯) নূতন আইন অনুসারে হিংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত জাত পাতের বিচার না করে সকল অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সাজার ব্যাবস্থা করতে হবে। ১০) এ ডি সি এলাকায় বাঙালীদের উপর বার বার আক্রমণের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের নূতন আইন অনুসারে সাজার ব্যাবস্থা করতে হবে।
Share this content:
Post Comment