পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, যে কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার নিজের মতো করে কাজ করছে। কেউ যাতে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলতে না পারে তার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি জানান, যে কোনও সময়ে এর ফলে সঠিক তথ্য তুলে ধরা সম্ভব হবে।
দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থার মধ্যেও এবার ভুয়ো জবকার্ড সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল নবান্ন। সম্প্রতি মনরেগার (১০০ দিনের কাজ) ডিস্ট্রিক নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে পঞ্চায়েতে দফতরের। সেই বৈঠকেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। মূলত যাঁদের ভুয়ো জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা এই কার্ড বাতিল হওয়ার আগে কোনও টাকা পেয়েছিলেন কিনা, সেই তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, স্বচ্ছতার প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোনওরকম আপস করতে রাজি নয়। সেই জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা কর্তৃপক্ষকে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, যে কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার নিজের মতো করে কাজ করছে। কেউ যাতে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলতে না পারে, তার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি জানান, যে কোনও সময়ে এর ফলে সঠিক তথ্য তুলে ধরা সম্ভব হবে।
যদিও সরকারি আধিকারিকদের অনেকের মতে, কেন্দ্রের এক নির্দেশিকার পরেই এমন পদক্ষেপ পঞ্চায়েত দফতরের। গত ২৫ জানুয়ারি ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড বাতিল সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এই চিঠিতে ভুয়ো জবকার্ড বাতিল করার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা মনে করানো হয়েছে। তাতে ভুয়ো জব কার্ড বাতিল সংক্রান্ত নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, তিন বছর ধরে যদি কেউ কাজ না করেন বা বাসস্থান ছেড়ে দীর্ঘদিনের জন্য অন্য জায়গায় চলে যান অথবা একই পরিবারের অনেকগুলি কার্ড থাকলে বা মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে কার্ডগুলিকে ভুয়ো হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর নিয়ম মেনে সেগুলি বাতিল করতে হবে। তাছাড়া বাতিল হওয়ার টাকা ন্যায্য টাকা সংশ্লিষ্টরা পেয়েছেন কি না তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সেই বৈঠকে এর পাশাপাশি প্রকল্পের অডিট সংক্রান্ত কাজও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে কোনও কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পেতে গেলে নিয়ম মানতে হবে। আধিকারিকদের সেই কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রয়েছে। এর জন্য একাধিবার কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।