ভারতে তারা জামাই আদরে!
- পালিয়ে যেতে দেওয়ার দায় কার?
- বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্ত ছিলো রুট।
- হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ।
- ভুক্তভোগী পরিবারে চরম হতাশা।
- ছাত্র-জনতার তীব্র অসন্তোষ।
লণ্ডন, ০১ অক্টোবর- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গণহত্যাকারী ও গণহত্যাকারীদের দোসর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এদের বেশির ভাগই ভারতে জামাই আদরে আছেন। সম্প্রতি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কলকাতার ইকোপার্কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা গেছে। যেখানে অনেকটা খোশ মেজাজে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। তার মুখে শ্বেত শুভ্র সাদা দাড়ি ছিল। এ সময় তার সাথে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল, হাজি সেলিমের এক ছেলেসহ আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকেও দেখা যায়। তবে সেখানে কিছু বাংলাদেশি জড়ো হওয়ায় তাদের এ আড্ডা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি; দ্রুত সরে যান তারা। সে সময় পার্কে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক সংবাদমাধ্যমটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি কয়েকটি খুনের মামলার আসামী সন্ত্রাসীদের গডফাদার শামীম ওসমান সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যান। কিছুদিন আগে তাকে দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরগাহে দেখা গেছে। শামীম ওসমান দালালদের সহায়তায় রাতের আঁধারে বোরকা পরে ভারতে পালিয়ে যান এবং বর্তমানে দিল্লি অবস্থান করছেন। দালালদের সহায়তায় গত ৮ সেপ্টেম্বর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া দালালদের সহায়তায় সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। তারা বারাসাত এলাকায় চট্টগ্রামের জন্ম নেওয়া ভারতীয় নাগরিক জনৈক জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ভারতে চিকিৎসাধীন বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক বিদ্যুৎ বড়ুয়া সেখানে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পুলিশের বিতর্কিত কর্মকর্তা ডিবি হারুন ওরফে ভাতের হোটেলের হারুন তথা হারুন অর রশিদ কোথায় লুকিয়েছেন কেউ জানেন না। তবে পুলিশের আরেক বিতর্কিত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছেন। তিনি দালালদের এ জন্য মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবৈধ পথে দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিমযে ভারত পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি অন্য দেশে চলে গেছেন বলে সুত্রের দাবি। কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা ১ সেপ্টেম্বর ভারতে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় বাবা ও মেয়ে বোরকা পরিহিত ছিলেন। তারা রাতের আধারে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চরানল সীমান্ত দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পৌঁছান। বর্তমানে বাবা-মেয়ে কলকাতায় এক রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়ে রয়েছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ভারতের আসামে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বাংলাদেশী পর্যটকরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা ভারতে পালিয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দেশের গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ পেলে এবং এমন একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে, তারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন? তাদেরকে পালিয়ে যেতে দেওয়ার দায় কার? এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম জানান, তার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তথ্য নেই। তিনি বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে সেখানে গেছেন, সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তথ্য নেই। এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে, তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন, হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতে যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।’ একই বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, তাদের কাছেও এ ধরনের কোনও তথ্য নেই। তিনি বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈধভাবে গেছেন নাকি অবৈধভাবে গেছেন সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনও তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনও উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় ডিআইটি প্লট সতীশ সরকার রোডের ৩১ নম্বর বাড়িতে দেখে ওই বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় জনতা। অতপর সেনাবাহিনীকে খবর দেয়া হয়। ভোররাত বাসাটি ঘেড়াও করে রাখলেও আসাদুজ্জামান খান কামালকে সেখানে গ্রেফতার করা যায়নি। স্থানীয় জনতা অভিযোগ আসাদুজ্জামান খান কামাল বাড়ির ঘেড়াওয়ের পর পাশের বাড়ির ছাড়ে উঠে পালিয়ে গেছেন। গণহত্যাকারী আসাদুজ্জামান খান কামালের পার্কে আড্ডা দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। তিনি কিভাবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে গেলেন? এ নিয়ে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন এবং লাইক শেয়ার দিচ্ছেন।
আসামে স্বাধীনতাকার্মী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা), ভারতের ভাষায় সন্ত্রাসী নেতাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ ছিল ভারতের। এ নিয়ে দেশটির উদ্বেগের সীমা পরিসীনার অন্ত ছিলো না। ভারতের সেবাদাস শেখ হাসিনা দিল্লির প্রেসক্রিপশনে বন্দিবিনিময় চুক্তি করে উলফা নেতাদের ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই ভারতে জামাই আদরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতাধিক খুনি। ১৫ বছরের লুটের টাকায় তারা ভারত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। দালালদের বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড় হয়ে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছেন। এদের প্রায় সকলেই বাংলাদেশে কয়েকটি করে খুনের মামলায় অভিযুক্ত আসামী। কেউ দল বেঁধে বাসাভাড়া নিয়ে কেউ একাই হোটেলে অবস্থান করছেন; সকাল-বিকেল পার্কে ঘুরছেন। অথচ বন্ধুপ্রতীম দেশের দাবিদার হিন্দুত্বাবদী ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলাদেশের পলাতক খুনিদের গ্রেফতার করছে না। এমনো জানা গেছে, অনেক খুনি ভারতের বিজেপির তদারকিতে সেখানে নিরাপদে অবস্থান করছেন। অবশ্য কয়েকজন সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় বাংলাদেশের বিজিবি ও সাধারণ জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। একজন নেতা সীমান্ত দিয়ে পালাতে গিয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের খুনিরা ভারতে প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ দুই দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি আনুযায়ী সেটা করতে পারেন না। তাদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। অন্যদিকে ভারতে খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে অপরাধীরা পালাচ্ছে তারপরও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলরা নীরব। অথচ ভারতের সরকারের চোখে কোনো অপরাধীকে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে দেখা গেলে ভারতের মন্ত্রীরা কঠোরভাবে প্রতিবাদ করে সেই অপরাধীকে ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করতেন।
আসামের স্বাধীনতাকামী, ভারতের ভাষায় বিচ্ছিন্নতাবাদী অপরাধীদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলে সব সময় ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করতেন। যার কারণে ২০১৩ সালে ভারত-বাংলাদেশ বন্দি বিনিময় চুক্তি করা হয়। ২০১৫ সালে এই চুক্তির আওতায় আসামের স্বাধীনতাকামী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াসহ কয়েকজনকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা, ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন, অর্থপাচার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যইব্যুনালে স্বৈরাচার পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুধু শেখ হাসিনাই নয়, ছাত্রজনতার আন্দোলনে খুনসহ ১৫ বছর অনেক খুন করেছেন এমন অসংখ্য খুনি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু ভারত তাদের গ্রেফতার করছে না। রহস্যজনক ব্যাপার হলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করছে না। এমনকি ঢাকায় কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে ‘খুনিদের আশ্রয় দেয়া’ নিয়ে সতর্ক করেনি। অথচ দু’দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তিতে রয়েছে এক বছরের সাজা হতে পারে এমন মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেই ভারত বা বাংলাদেশকে পলাতক বন্দি হস্তান্তর করতে হবে। হত্যা, গণহত্যা, বোমা হামলা, গুলি করে হত্যা, সম্পত্তির ক্ষতি, গুম-অপহরণ বা জিম্মি করা এবং হত্যার প্ররোচনার মতো অপরাধের মামলায় পলাতক আসামিকে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ওই চুক্তিতে।
ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, বিতর্কিত নেতা, পুলিশের দলবাজ কর্মকর্তা সীমান্ত দিয়ে দালালদের টাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান পর্যায়ক্রমে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা, শেরপুর, লালমনিরন হাট, সিলেট, ময়মনসিংহ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, খুলনার সুন্দরবনসহ কয়েকটি জেলার সীমান্ত মানব পাচারের জন্য দালালচক্রের স্বগরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিতর্কিত এবং বিভিন্ন খুনের মামলার আসামী নেতারা টাকার বিনিময়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন এ সব সীমান্ত দিয়ে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যার সহযোগী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন সেই প্রশ্ন তুলেছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের দুই মাসের মাথায়ও গণহত্যায় জড়িতদের মধ্যে যারা এরই মধ্যে হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন, তারা কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না- সেই প্রশ্নও তুলেছেন দলটির নেতারা।
দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছ, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কয়েকজন সদস্য এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আলোচনা করেন। তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে তারা (শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও আ.লীগ নেতা) পালালেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তারা সরকারের কাছেও জানতে চাইবেন। কমিটির একজন সদস্য জানান, তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাদের কাউকে কাউকে ভারতের বিভিন্ন মাজার ও পার্কেও দেখা গেছে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, হত্যা মামলার পরেও এসব আসামি কিভাবে পালালেন, কারা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে, এসব বিষয়ে জনমনে যথেষ্ট প্রশ্ন ও উদ্বেগ আছে। তারা বুঝতে চাইছেন, দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার কিভাবে সংস্কার করতে চাইছে, সংস্কারের রোডম্যাপ কেন দেওয়া হচ্ছে না, সংস্কার কবে নাগাদ হবে- এসব বিষয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন আছে। বৈঠকে সব কর্মকাণ্ডে সরকারের ধীরগতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন নেতা। এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সজাগ থাকার কথা বলেন তারা।
Share this content:
Post Comment