ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ
- শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী।
লণ্ডন, ১০ সেপ্টেম্বর- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে এসে হাউস অব কমন্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি হরমুজ আলী ও শাহ আজিজুর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী ও নইম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস, আ স ম মিসবাহ, রবিন পাল, খসরুজ্জামান খসরু, সারব আলী, আবুল কালাম চৌধুরী, কাওছার চৌধুরী, আহমেদ আহসান, নজরুল ইসলাম অকিব, আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, আনসারুল হক, সৈয়দ ছুরুক আলী, আব্দুল হোসেন, ফখরুল ইসলাম মধু, সেলিম আহমদ খান, জামাল আহমদ খান, মাহবুব আহমদ, তামিম আহমদ, জোবায়ের আহমদ, আনজুমান আরা অন্জু, শাহিনা আক্তার, হোসনে আরা মতিন, ছালমা বেগম, মিফতা নূর, সামিরুন চৌধুরী, আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল বাছির, তামিম আহমদ, সজিব ভূঁইয়া, জাকির আখতারুজ্জামান খান, আফজল হোসেন ও মাহবুব আহমদ।
সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সরকারে থাকার কোন ভিত্তি নেই বলে দাবী করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ১৭১ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের একমাত্র আইনানুগ দাবিদার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা অনির্বাচিতভাবে সরকার প্রধান হবার কোন ব্যবস্থা উক্ত সংবিধানে নেই। সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের দাবীর কোন আইনী, সাংবিধানিক বা গণতান্ত্রিক ভিত্তি নাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, তথাকথিত ‘কোটা আন্দোলনের’ নেপথ্যে থেকে দেশদ্রোহী গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক মোড়লদের সহযোগিতায় মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ধ্বংসের তলানিতে নিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি নিধন করছে। মামলা-হামলা আর হত্যায় বেপরোয়া প্রফেসর ইউনুস এবং তার দোসর, জামাত এবং তাদের সমর্থকদের দ্বারা অসাংবিধানিকভাবে জোরপূর্বক বাংলাদেশ রাষ্ট্র দখল এবং গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং অত্যাচার, অনাচার করছে।
দূপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Share this content:
Post Comment