শাপলা চত্বর ম্যাসাকার, হাসিনা-বেনজিরসহ ৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা

- গুমের অভিযোগে হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
ঢাকা অফিস, ১২ মার্চ: রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের করা মামলায় শেখ হাসিনা ও বেনজির আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় চারজন অভিযুক্ত যারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদেরকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মূলে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর নায়েক মো. সোহেল মিয়া গ্রেফতার হয়েছেন। আজ তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
প্রসিকিউশন পক্ষে আজ শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। চেয়ারম্যানসহ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী।
গুমের অভিযোগে হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। রোববার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিন প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালকে জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর জন্য যখন র্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল তখন হারুন অর রশিদ র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এ নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে সাবেক র্যাবপ্রধানের দায় আছে। এ পর্যায়ে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তবে আন্দোলন চলাকালীন হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার অভিযোগের জবাবে র্যাব সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের হেলিকপ্টার থেকে শুধু কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। বিবৃতিতে গুলি ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, কিছু মহল ইচ্ছাকৃতভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
Share this content:
Post Comment