ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম তিন জওয়ান

- গত ৩ জানুয়ারি থেকে ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নরায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, বিজাপুর, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও-সহ মাওবাদী প্রভাবিত বেশ কয়েকটি জেলায় সেই অভিযান জারি রয়েছে।
ছত্তিসগড় নিউজ ডেস্ক: ছত্তিসগড়ে আবার মাওবাদীদের হামলা। মঙ্গলবার বিজাপুর-দন্তেওয়াড়ার সীমানায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে নিরাপত্তাবাহিনীর তিন জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজাপুর-দন্তেওয়াড়া সীমানায় মাওবাদীদমন অভিযান চালাচ্ছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি), পুলিশ এবং আধাসেনার যৌথবাহিনী। রাস্তাতেই মাওবাদীরা পুঁতে রেখেছিলেন বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরকে চাপ পড়তেই বিস্ফোরণ হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি কাঁকেরে ডিআরজি এবং বিএসফ যৌথ অভিযান চালাচ্ছিল। সেই সময় মাওবাদীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নরায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, বিজাপুর, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁও-সহ মাওবাদী প্রভাবিত বেশ কয়েকটি জেলায় সেই অভিযান জারি রয়েছে। জানুয়ারির শেষের দিকে ওড়িশা-ছত্তিসগড়ে সীমানায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন ২০ মাওবাদী। তাঁদের মধ্যে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চলপতি ছিলেন। যাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। গত শনিবার বিজাপুরের গাঙ্গালুরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আট মাওবাদীর মৃত্যু হয়। তার পর রবিবার কাঁকেরে দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত এক থেকে দেড় বছরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বড় সাফল্য এসেছে। প্রাশাসনের দাবি, এই সময়ের মধ্যে তিনশোর বেশি মাওবাদী নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। প্রায় এক হাজার মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছেন আটশোরও বেশি মাওবাদী।
Share this content:
Post Comment