অবৈধ সম্পদ ও অনৈতিকতার গ্যাড়াকলে টিউলিপ পরিবার
- অঢেল সম্পদের হিসাব মিলছে না।
- মায়ের ডিভোর্সের কথা বলেও পার পাচ্ছেন না।
- ছোট বোন রুপন্তিুও বাগিয়ে নিয়েছেন বিনামূল্যে ফ্ল্যাট।
- শেখ পরিবারের দুর্নীতির কারণে প্রবাসীদের মাথা হেট।
- আরমানের স্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ।
- নির্ধারিত চীন সফর বাতিল করা হয়েছে।
- টিউলিপকে মন্ত্রী বানানো ভুল সিদ্ধান্ত: দ্যা টাইমস।
লণ্ডন, ৮ জানুয়ারি- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের রাজনৈতিক আদর্শ কে? প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, তার খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক আদর্শ। টিউলিপের উত্তর শুনে বিদগ্ধ মানুষেরা তখন চোখ কপালে তুলেছিলেন। পৃথিবীতে এত বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে লণ্ডনে জন্ম নেয়া টিউলিপের খালা হাসিনা কেনো তার রাজনৈতিক আদর্শ, এই হিসাব অনেকেই মেলাতে পারছিলেন না। অবশেষে সব হিসাব মিলেছে। বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আগেই জড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, টিউলিপের মা শেখ রেহানাসহ তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালাসংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে সে গ্যাড়াকলে ফেসেছে। যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এবার তদন্তের মুখে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে লন্ডনে একাধিক ফ্ল্যাট বিনামূল্যে গ্রহণ করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব ফ্ল্যাট তাকে দিয়েছেন তার খালার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি ব্যক্তিরা।
লেবার পার্টির প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে এক ধরনের তোলপাড় চলছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে মিথ্যা বলেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এ নিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) টিউলিপকে তার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের দাবি করেছেন টোরি এমপিরা। রোববার টিউলিপ সিদ্দিককে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে ডেইলি মেইল। টিউলিপকে প্রশ্ন করা হয় যে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের ফ্ল্যাটটি তিনি তার স্বৈরশাসক খালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছিলেন কি না। এর আগে টিউলিপ জানান, উপহার হিসেবে তিনি এই ফ্ল্যাট পাননি। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, তার বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তবে লেবার পার্টির সূত্র নিশ্চিত করেছে যে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে টিউলিপকে ফ্ল্যাটটি দিয়েছিলেন আবাসন খাতের তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপার। টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তিনি তা ব্যাখ্যা না করলে মন্ত্রী হিসেবে তার এই অবস্থান অযোগ্য। টোরি দলের আরেক এমপি বেন ওবিস-জেক্টিন বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে নতুন এই তথ্য উদ্বেগজনক।
লেবার পার্টির সূত্র জানায়, ২০২২ সালে যখন প্রথম অনুসন্ধান করা হয় তখন টিউলিপ সিদ্দিককে তার পরিবার জানায় যে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে তার পরিবারের ‘দাবি’ পরিবর্তন হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন এক ব্যক্তি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, মোতালিফ (আবাসন ব্যবসায়ী) ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে উপহার দিয়েছেন ‘কৃতজ্ঞতার নিদর্শন’ হিসেবে, কারণ তিনি নিজে যখন দুর্দশার মধ্যে ছিলেন, টিউলিপের বাবা-মা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়েছিলেন। শুক্রবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে প্রকাশের টিউলিপ এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, কীভাবে তিনি এই সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছেন সেই সম্পর্কে টিউলিপের আগের বোঝার অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। এই ভুল বুঝতে পারার পর দ্রুত টিউলিপ সিদ্দিক সাংবাদিকদের এই বিষয়ে অবহিত করেন- যারা এই বিষয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন। যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে তৃতীয় তলার এই ফ্ল্যাটের মালিক হন টিউলিপ। তখন তিনি সবেমাত্র লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করেন। সেই সময় তার জ্ঞাত আয় ছিল না। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তারা প্রমাণ করেছে যে পূর্বে এই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন আব্দুল মোতালিফ। ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। তিনি ২০০১ সালে এই ফ্ল্যাট ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে টিউলিপকে ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তার এই ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পাওয়া কিনা। এর জবাবে লেবার পার্টির মেইল থেকে বলা হয়, ২০ বছর আগে টিউলিপের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে, তারা তাদের পরিবারের বাড়ি বিক্রি করে এবং সেই অর্থ দিয়ে কিংস ক্রস এলাকায় ফ্ল্যাটটি কিনেছিল। এরপর গত বছরের জুলাইতে টিউলিপ সিদ্দিক এবং লেবার পার্টির কাছে ডেইলি মেইল আবার প্রশ্ন করে। তবে এর জবাবে টিউলিপ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন টিউলিপ বলে ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে।
এদিকে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। এবার দ্য টেলিগ্রাফ দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটির খবর প্রকাশ করেছে। এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রথমটির তথ্য প্রকাশ্যে আনে। দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস করতেন। এটিও তার খালা বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া। তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। তিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত। সানডে টাইমসের মতে, মঈন গনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী। যিনি হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। ২০০৯ সালে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন তিনি। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, টাকা বা আর্থিক মূল্য ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন আজমিনার বয়স ছিল ১৮ বছর। টিউলিপ সিদ্দিক বেশকিছু অফিসিয়াল নথিতে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটিকে তার বাসভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এমনকি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি কোম্পানির নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন।
নেটিজেনরা বলছেন, টিউলিপ ২০০৪ সালে যখন বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট পান তখন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। আর ছোট বোন আজমিনা রুপন্তি ২০০৯ সালে ১৮ বছর বয়সেই পেয়ে যায় বিনা মূল্যের ফ্ল্যাট। আলাদীনের চেরাগের দৈত্যও হয়তো এখন লন্ডনে বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট দিতে পারবে না! কিন্তু ”শেখের বেটি” রা পারে।
জানা গেছে, সম্পত্তি নিয়ে জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে আসার পর মন্ত্রীত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে আর্থিক দপ্তর। সোমবার দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের নির্ধারিত চীন সফর বাতিল করা হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর নীতি উপদেষ্টার কাছে নিজেকে পেশ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে আছেন টিউলিপ। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে চীনে যাওয়া ট্রেজারি প্রতিনিধি দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। তবে এখন তিনি যুক্তরাজ্যেই থাকবেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতি উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবেন। লন্ডনে যে দুটি ফ্ল্যাট টিউলিপ বিনামূল্যে পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সে ফ্ল্যাটগুলো কে কখন ব্যবহার করেছে তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। তদন্তে টিউলিপের কাছে এসব সম্পত্তি কিভাবে পেয়েছেন তা জানতে চাওয়া হবে। তিনি যদি সঠিক ব্যখ্যা দিতে না পারেন তবে তার মন্ত্রীত্ব চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টিউলিপ বলছেন, এসব সম্পত্তি অবৈধ নয়। তবে কীভাবে এই সম্পত্তি পেয়েছেন সে প্রশ্নে তিনি একেকবার একেক রকম দাবি করেছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে মন্ত্রী পর্যায়ের মান পর্যবেক্ষণ সংস্থার কাছে সঁপে দিয়েছেন। ৬ জানুয়ারি সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নগর ও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ণয়বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে, মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা বা আচরণবিধি তিনি ভঙ্গ করেছেন কি না, তা দেখার অনুরোধ করেছেন।
টিউলিপ বর্তমানে পূর্ব ফিঞ্চলে এলাকায় আবদুল করিম নামের এক ব্যক্তির ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য। শেখ হাসিনার পার্টি সঙ্গে টিউলিপের সংযোগ অতীতেও তার জন্য রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হয়েছে। ৮ জানুয়ারি বুধবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, নিখোঁজ আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক ও এমপি ছিলেন। তাই ওই সাংবাদিক মনে করেছিলেন, হাসিনার কাছে একটি ফোন করলে আরমান হয়ত মুক্তি পেতে পারেন। চ্যানেল-৪ এর ওই সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন টিউলিপ। তিনি পরবর্তীতে তার ক্ষমতা ও প্রশাসনকে দিয়ে আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান বলে অভিযোগ রয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার আরমান জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে তাকে নিয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক। এর জেরে আরমানের বাসায় অভিযান চালান বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা তার স্ত্রীকে ‘মুখ বন্ধ’ রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ব্যারিস্টার আরমান বলেছেন, চ্যানেল-৪ প্রতিবেদনটি প্রচার করার কয়েক ঘণ্টা আগে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আমার বাড়িতে যায়। আমার স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলে। বাইরের দেশের কার কার সঙ্গে আমার স্ত্রীর যোগাযোগ আছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করে। তাকে এমনভাবে হেনস্তা করে যেন কোনো সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা বলেছেন, গণমাধ্যমে যেন এ বিষয়ে কোনো আলাপ না ওঠে। টিউলিপকে এভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি করার বিষয়কে ভালোভাবে নেয়নি শেখ পরিবার। আরমান বলেন, এই কারণেই তারা প্রশাসন দিয়ে আমার পরিবারকে নতজানু করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে এলিটদের কাগজখ্যাত ‘দ্যা টাইমস’ টিউলিপকে নিয়ে এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রীত্ব থেকে সরে দাঁড়ানা উচিত। সম্পাদকীয় আরো বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মন্ত্রী বানানো ছিলো প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের একটা ভুল সিদ্ধান্ত।
Share this content:
Post Comment